এটি গুগলের এলডিইএস প্রযুক্তিতে প্রথম বিনিয়োগ, যার মাধ্যমে গুগলের বিশ্বজুড়ে কার্যক্রম পরিচালনাকারী গ্রিডগুলোর জন্য এনার্জি ডোম’র কার্বন ডাই অক্সাইড ব্যাটারি ব্যবহার করা হবে। ব্যাটারিগুলো সৌর এবং বায়ু শক্তির মতো নবায়নযোগ্য উৎস থেকে উৎপন্ন অতিরিক্ত শক্তি সংরক্ষণ করে, যখন উৎপাদন শীর্ষে থাকে এবং চাহিদা কম থাকে। তবে, লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারিগুলো মাত্র চার ঘণ্টা বা তার কম সময়ের জন্য শক্তি সঞ্চয় ও সরবরাহ করতে পারে।
এনার্জি ডোম ব্যাখ্যা করেছে যে, তাদের CO2 ব্যাটারি ৮ থেকে ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত শক্তি সঞ্চয় এবং অবিচ্ছিন্নভাবে সরবরাহ করতে পারে, যার ফলে সূর্য বা বায়ু না থাকলেও গুগল নবায়নযোগ্য শক্তির উপর বেশি নির্ভর করতে পারবে। এই প্রযুক্তি গম্বুজ আকৃতির ব্যাটারির ভেতর কার্বন ডাই অক্সাইড ব্যবহার করে। যখন নবায়নযোগ্য শক্তির অতিরিক্ত উৎপাদন হয়, তখন এই ব্যাটারিগুলো সেই শক্তি ব্যবহার করে কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাসকে তরল আকারে সংকুচিত করে। আর যখন শক্তির প্রয়োজন হয়, তখন তরল কার্বন ডাই অক্সাইড চাপের মধ্যে গরম গ্যাসে রূপান্তরিত হয়। এই গ্যাস একটি টারবাইন ঘুরিয়ে শক্তি উৎপন্ন করে, যা গ্রিডে ফেরত যায় এবং এই প্রক্রিয়া পুরো এক দিন পর্যন্ত চলতে পারে।
গুগল বলেছে, এনার্জি ডোম’র প্রযুক্তি তাদের অন্যান্য পরিচ্ছন্ন প্রযুক্তি বিনিয়োগের তুলনায় “অনেক দ্রুত বাণিজ্যিকীকরণের” সম্ভাবনা রাখে এবং তারা এই প্রযুক্তিকে “দ্রুত এবং কম খরচে বড় আকারে প্রয়োগ” করতে চায়। এছাড়া, গুগল বিশ্বাস করে যে, এনার্জি ডোম-এর সঙ্গে এই অংশীদারিত্ব এবং বিনিয়োগ তাদের ২০৩০ সালের মধ্যে ২৪/৭ নবায়নযোগ্য শক্তিতে চালিত হওয়ার লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করবে।