ফুজিফিল্ম তাদের ক্যামেরা এবং লেন্সের দাম বাড়িয়েছে, যার মধ্যে কিছু মডেলের দাম কয়েকশ ডলার পর্যন্ত বেড়েছে। বিশেষ করে জনপ্রিয় X100VI ক্যামেরার দাম ১,৫৯৯ ডলার থেকে বেড়ে ১,৭৯৯ ডলার হয়েছে। X-T5 মডেলের দাম ১,৬৯৯ ডলার থেকে বেড়ে ১,৮৯৯ ডলার এবং ইতিমধ্যে ব্যয়বহুল GFX100 II-এর দাম ৭,৪৯৯ ডলার থেকে বেড়ে ৮,২৯৯ ডলার হয়েছে, অর্থাৎ ৮০০ ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে। লেন্সের দাম বৃদ্ধি তুলনামূলকভাবে কম, ৫০ থেকে ১৫০ ডলারের মধ্যে।
এই দাম বৃদ্ধির পেছনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন শুল্ক নীতির প্রভাব রয়েছে, যা ৭ আগস্ট থেকে কার্যকর হওয়ার কথা। নিন্টেন্ডো ইতিমধ্যে তাদের পুরোনো সুইচ মডেলের দাম বাড়িয়েছে, এবং অ্যাপল জানিয়েছে যে তারা শুল্কের কারণে ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি অতিরিক্ত খরচ বহন করছে।
ফুজিফিল্মের জন্য এই শুল্ক নীতি বড় ধরনের সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০২৪ সালে, X100V মডেলের টিকটকে ব্যাপক জনপ্রিয়তা এবং রিসেল মার্কেটে উচ্চ মূল্যের কারণে ফুজিফিল্ম X100VI-এর উৎপাদন চীনে সরিয়ে নিয়েছিল। কিন্তু চীনের ওপর প্রাথমিক শুল্ক কার্যকর হওয়ার পর, ফুজিফিল্ম এই মডেলের কিছু উৎপাদন আবার জাপানে ফিরিয়ে আনে। ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে একটি চুক্তি সত্ত্বেও, জাপান থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর ১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপিত হচ্ছে।
নতুন দাম ইতিমধ্যে B&H এবং Adorama-এর মতো খুচরা বিক্রেতাদের কাছে প্রতিফলিত হচ্ছে। ফুজি ক্যামেরা বিক্রি করে এমন একটি প্রতিষ্ঠান, Moment, তাদের ব্লগে লিখেছে, “ট্রাম্পের শুল্কের কারণে ফুজিফিল্মের এই বছর দাম বাড়ানোর প্রয়োজন হয়েছে, এটা কোনো আশ্চর্যের বিষয় নয়।” তারা আরও বলেছে, “এই মুহূর্তে, এই দাম বৃদ্ধি স্থায়ী বলে মনে হচ্ছে।” ফুজিফিল্ম এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি।
অন্যান্য ক্যামেরা কোম্পানি যেমন লাইকা এবং ক্যাননও ইতিমধ্যে দাম বাড়িয়েছে। PetaPixel-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ফুজিফিল্মের দাম বৃদ্ধি নতুন শুল্ক হার ঘোষণার আগেই নির্ধারিত হয়েছিল। যদি প্রকৃত শুল্ক হার প্রত্যাশার চেয়ে বেশি হয়, তবে ফুজিফিল্মের জন্য পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে। ট্রাম্পের শুল্ক কখন, কাদের ওপর, কী হারে এবং কতদিনের জন্য কার্যকর হবে, তা নিয়ে চলমান অনিশ্চয়তার কারণে এটি সম্ভবত দাম সংশোধনের শুরু মাত্র।