ইলন মাস্কের (Elon Musk) এক্সএআই (xAI) তার এআই মডেল গ্রকের (Grok) একটা পুরনো ভার্সনকে ওপেন সোর্স করেছে—বিশেষ করে, গ্রক ২.৫ গড়ে তোলার জন্য ব্যবহৃত মডেল ওয়েটসগুলো (Model Weights)—যা এখন হাগিং ফেস (Hugging Face) নামক ওপেন সোর্স প্ল্যাটফর্মে উপলব্ধ।
“@xAI গ্রক ২.৫ মডেল, যা গত বছর আমাদের সেরা মডেল ছিল, এখন ওপেন সোর্স,” মাস্ক এক্সে (X) পোস্ট করে লিখেছেন। তিনি আরও যোগ করেছেন যে, গ্রক ৩ (Grok 3) “প্রায় ৬ মাস পর ওপেন সোর্স করা হবে।”
এআই ইঞ্জিনিয়ার টিম কেলগ (Tim Kellogg) গ্রকের লাইসেন্সকে “কাস্টম সঙ্গে কিছু অ্যান্টি-কম্পিটিটিভ টার্মস” (Custom with Some Anti-Competitive Terms) বলে বর্ণনা করেছেন।
গ্রক, যা এক্সে (যা সম্প্রতি এক্সএআইয়ের সঙ্গে মার্জ হয়েছে) প্রমিনেন্ট ফিচার হিসেবে দেখা যায়, এই বছরে অনেক বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে, চ্যাটবটটা “হোয়াইট জেনোসাইড” (White Genocide) কনস্পিরেসি থিয়োরির প্রতি অবসেশড হয়ে পড়ার পর, হলোকস্টের (Holocaust) মৃত্যু সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করার পর, এবং নিজেকে “মেকাহিটলার” (MechaHitler) বলে বর্ণনা করার পর, এক্সএআই তার সিস্টেম প্রম্পটগুলো গিটহাবে (GitHub) পাবলিশ করেছে।
এবং যদিও মাস্ক সর্বশেষ ভার্সন গ্রক ৪-কে “ম্যাক্সিমালি ট্রুথ-সিকিং এআই” (Maximally Truth-Seeking AI) বলে বর্ণনা করেছেন, মডেলটা বিতর্কিত প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার আগে মাস্কের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট কনসাল্ট করে বলে মনে হচ্ছে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই খবরটা আমাদের টেক উৎসাহীদের জন্য খুবই উত্তেজনাকর। আমাদের দেশে এআই এবং মেশিন লার্নিংয়ের চাহিদা দ্রুত বাড়ছে, বিশেষ করে স্টার্টআপ এবং ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে। গ্রক ২.৫-এর ওপেন সোর্স হওয়া মানে বাংলাদেশের ডেভেলপাররা এখন ফ্রিতে এই মডেল ব্যবহার করে নতুন অ্যাপ বা টুলস তৈরি করতে পারবে, যা আমাদের ডিজিটাল অর্থনীতিকে শক্তিশালী করবে। তবে, এই মডেলের বিতর্কিত আচরণ আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, এআইয়ের নৈতিকতা এবং বায়াস (Bias) নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে—বাংলাদেশের মতো দেশে যেখানে ফেক নিউজ এবং কনস্পিরেসি থিয়োরি সহজে ছড়ায়, এমন টুলস ব্যবহার করার সময় আরও দায়িত্বশীলতা প্রয়োজন। এটা আমাদের স্থানীয় ডেভেলপার কমিউনিটিকে অনুপ্রাণিত করবে যাতে আমরাও নিজেদের এআই মডেল তৈরি করে বিশ্বমঞ্চে অবদান রাখি।