ইনস্টাগ্রাম তার কলেজ ছাত্রছাত্রীদের জন্য একটি নতুন ফিচার চালু করছে, যা ক্যাম্পাসের অন্যান্য লোকজনের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনকে সহজ করে তুলবে। কোম্পানি মঙ্গলবার এই ঘোষণা দিয়েছে। এই লঞ্চের মাত্র এক সপ্তাহ আগে টিকটক একটি প্রায় একই রকম ফিচার চালু করেছে।
এই নতুন অপশনটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ছাত্রছাত্রীদের তাদের প্রোফাইল ব্যানারে তাদের কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় যোগ করতে এবং তাদের স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের তালিকা ব্রাউজ করতে সাহায্য করবে।
ছাত্রছাত্রীরা তাদের প্রোফাইলে একটি ‘অ্যাড স্কুল’ অপশন দেখতে পাবেন, যাতে ক্লিক করে তারা ছাত্র যাচাইকরণ প্ল্যাটফর্ম ইউএনআইডেজের মাধ্যমে যাচাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন এবং তাদের প্রোফাইলে স্কুলটি প্রদর্শন করতে পারবেন। স্কুল ব্যানার যোগ করার পর, তারা নির্বাচন করতে পারবেন কারা এটি দেখতে পাবে।
তারপর তারা অন্যান্য নিশ্চিত ছাত্রছাত্রীদের তালিকা ব্রাউজ করতে পারবেন। ইনস্টাগ্রাম বলছে, এই ছাত্র ডিরেক্টরি ক্লাসমেটদের খুঁজে পেতে এবং অন্যদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে সহজ করে। ব্যবহারকারীরা পুরো স্কুল ব্রাউজ করতে পারবেন অথবা বছর অনুসারে ফিল্টার করতে পারবেন।

ইনস্টাগ্রাম এবং টিকটকের এই নতুন কলেজ-কেন্দ্রিক ফিচারগুলো ফেসবুকের প্রথম দিনগুলোর কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। উভয় প্ল্যাটফর্মের লঞ্চের পিছনে ধারণাটি হলো ক্যাম্পাসের অন্যান্য ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের জন্য একটি স্পেস তৈরি করা, যা মূলত ফেসবুকের আসল মিশন ছিল যখন এটি ২০০৪ সালে হার্ভার্ড ছাত্রছাত্রীদের একে অপরের সঙ্গে সংযোগ করার উপায় হিসেবে চালু হয়।
এই ফিচারের লঞ্চ কোনো অবাক করার মতো নয়, কারণ গত বছর ইনস্টাগ্রাম এটি ডেভেলপ করতে করতে ধরা পড়েছিল।
যদিও এই ফিচারগুলো বন্ধু খুঁজতে চাওয়া কলেজ ছাত্রছাত্রীদের জন্য স্বাগতম হতে পারে, তবে এগুলো গোপনীয়তার উদ্বেগও তৈরি করতে পারে, কারণ এগুলো অনলাইনে অন্যদের ট্র্যাক করাকে সহজ করে তুলতে পারে। সৌভাগ্যবশত, নতুন ফিচারগুলো ঐচ্ছিক, তাই যারা তাদের অনলাইন উপস্থিতি ছাত্র জীবন থেকে আলাদা রাখতে চান তারা সহজেই তাদের প্রোফাইলে স্কুল যোগ না করে এড়িয়ে যেতে পারেন।
এছাড়াও উল্লেখ্য যে কিছু লোক এই নতুন ইনস্টাগ্রাম ফিচার পছন্দ নাও করতে পারেন, কারণ এটি ইতিমধ্যে অতিরিক্ত ভিড়-ভাট্টার অ্যাপে আরও একটি স্তর যোগ করছে।
বাংলাদেশের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের জন্য এই ফিচারগুলো বিশেষভাবে প্রাসঙ্গিক হতে পারে, যেখানে অনেকে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে নতুন বন্ধুত্ব গড়ে তোলে। তবে গোপনীয়তা রক্ষার বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরি, কারণ অনলাইন সংযোগের সঙ্গে বাস্তব জীবনের ঝুঁকিও যুক্ত। এই ফিচারগুলো কলেজ জীবনকে আরও সংযুক্ত এবং মজাদার করে তুলতে পারে, যদি আমরা দায়িত্বশীলভাবে ব্যবহার করি।