যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের বিচারক আমিত মেহতা (Amit Mehta) মঙ্গলবার ইউএস বনাম গুগল অ্যান্টিট্রাস্ট মামলায় (antitrust case) রায় দিয়েছেন যে গুগল (Google) তার ২০ বিলিয়ন ডলারের সার্চ চুক্তি (search deal) অ্যাপলের (Apple) সাফারি ব্রাউজারে (Safari browser) ডিফল্ট সার্চ ইঞ্জিন হিসেবে বজায় রাখতে পারবে। অ্যাপল এবং ফায়ারফক্সের নির্মাতা মজিলার (Mozilla) নির্বাহীরা গুগলের সঙ্গে তাদের সার্চ চুক্তির পক্ষে সাফাই গেয়েছেন। মজিলার প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা (CFO) সাক্ষ্য দিয়েছেন যে এই চুক্তি ছাড়া ফায়ারফক্সের (Firefox) অস্তিত্ব বিপন্ন হতে পারে।
বিচারক মেহতা তার রায়ে লিখেছেন, “গুগলকে তার বিতরণ পার্টনারদের (distribution partners) গুগল সার্চ (Google Search), ক্রোম (Chrome) বা তার জেনএআই পণ্য (GenAI products) প্রি-লোড বা প্লেসমেন্টের জন্য অর্থপ্রদান বা অন্যান্য সুবিধা প্রদান থেকে নিষিদ্ধ করা হবে না।” তিনি আরও বলেন, “গুগলের অর্থপ্রদান বন্ধ করলে বিতরণ পার্টনার, সম্পর্কিত বাজার এবং ভোক্তাদের উপর উল্লেখযোগ্য—কিছু ক্ষেত্রে ধ্বংসাত্মক—ক্ষতি হবে, যা একটি ব্যাপক অর্থপ্রদান নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে যায়।”
রায়ে আরও বলা হয়েছে, গুগলকে তার পণ্যগুলোতে চয়েস স্ক্রিন (choice screens) প্রদর্শন করতে হবে না। এই সিদ্ধান্তগুলো একটি বৃহত্তর প্রতিকার রায়ের (remedies ruling) অংশ, যেখানে গুগলকে ক্রোম বা অ্যান্ড্রয়েড (Android) বিচ্ছিন্ন করতে বাধ্য করা হয়নি, যা বিচার বিভাগ (Justice Department) দাবি করেছিল। তবে, গুগলকে তার কিছু সার্চ ডেটা (search data) প্রতিযোগীদের সঙ্গে শেয়ার করতে হবে।
গত বছর বিচারক মেহতা রায় দিয়েছিলেন যে গুগল সার্চ এবং বিজ্ঞাপন বাজারে (advertising markets) মনোপলিস্ট (monopolist) হিসেবে কাজ করছে। এই নতুন রায়টি প্রতিকার বিচারের (remedies trial) পর এসেছে। গুগল এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার পরিকল্পনা করছে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে প্রভাব
বাংলাদেশে গুগলের সার্চ ইঞ্জিন এবং অ্যান্ড্রয়েড প্ল্যাটফর্ম ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। অ্যাপলের সাফারি ব্রাউজারে গুগলের ডিফল্ট সার্চ ইঞ্জিন থাকার ফলে বাংলাদেশের ব্যবহারকারীরা সহজেই গুগল সার্চ ব্যবহার করেন। এই চুক্তি বহাল থাকায় ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতায় তাৎক্ষণিক কোনো পরিবর্তন হবে না। তবে, সার্চ ডেটা শেয়ারের নিয়ম বাংলাদেশের বাজারে প্রতিযোগিতা বাড়াতে পারে, যদি স্থানীয় বা আঞ্চলিক সার্চ ইঞ্জিনগুলো এই সুযোগ কাজে লাগায়।
এই রায় গুগলের বাজার আধিপত্য নিয়ে বিতর্ককে আরও জোরদার করবে। বাংলাদেশের ব্যবহারকারী এবং টেক কোম্পানিগুলোর জন্য এটি কী বোঝায়? আপনার মতামত কী?