এক্স (পূর্বে টুইটার) তাদের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এনক্রিপ্টেড ডাইরেক্ট মেসেজিং (ডিএম) ফিচার ‘এক্সচ্যাট’ আরও ব্যাপকভাবে উন্মুক্ত করছে। এই ফিচারটি গত মে মাসে বিটা সংস্করণ হিসেবে প্রকাশিত হয়েছিল, কিন্তু এখন এটি আরও বেশি ব্যবহারকারীর জন্য উপলব্ধ, এমনকি যারা এক্স প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশন নেননি, তারাও এটি ব্যবহার করতে পারবেন।
এক্সচ্যাট একটি সম্পূর্ণ এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপ্টেড চ্যাট সিস্টেম, যা বিদ্যমান ডিএম ইনবক্স থেকে আলাদা। এটি মিডিয়া আপলোড, গ্রুপ চ্যাট, পিন করা মেসেজ এবং মেসেজ পড়া বা অপঠিত হিসেবে চিহ্নিত করার সুবিধা দেয়। গুজব রয়েছে যে শীঘ্রই এতে ‘ভ্যানিশিং মোড’ যুক্ত হতে পারে, যা মেসেজ নির্দিষ্ট সময় পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে মুছে যাবে।
বর্তমানে, এক্সচ্যাট ব্যবহার করতে হলে ব্যবহারকারীদের নিজে থেকে এটি বেছে নিতে হবে। ডেস্কটপে, মেসেজ ট্যাবে গিয়ে ‘মেসেজ রিকোয়েস্ট’-এর উপরে থাকা ‘চ্যাট’ মেনু থেকে এটি অ্যাক্সেস করা যায়। মোবাইলে, বাঁ দিকের মূল নেভিগেশন বারে ‘কমিউনিটি’ অপশনের ঠিক উপরে ‘চ্যাট’ দেখা যাবে। এক্সচ্যাট ব্যবহার শুরু করার আগে ব্যবহারকারীদের একটি চার অঙ্কের কোড সেট করতে হবে, যা সিগন্যালের মতো এনক্রিপ্টেড প্ল্যাটফর্মের মতোই মেসেজগুলোকে সুরক্ষিত রাখে। এই কোড সেট করার পরই অন্যান্য এক্সচ্যাট ব্যবহারকারীদের সঙ্গে মেসেজিং শুরু করা যায়।
এক্সচ্যাট এখনো এক্স-এর পুরনো ডিএম সিস্টেমকে পুরোপুরি প্রতিস্থাপন করেনি। বরং, পুরনো মেসেজগুলো এখন চ্যাট মেনুতে ‘আনএনক্রিপ্টেড’ নামে একটি ট্যাবে দেখা যায়।
কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ? বাংলাদেশের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের জন্য গোপনীয়তা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এক্সচ্যাটের এই এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন ফিচার ব্যক্তিগত কথোপকথনকে আরও সুরক্ষিত করবে, যা ব্যবহারকারীদের মধ্যে আস্থা বাড়াতে পারে। তরুণ প্রজন্ম, যারা সিগন্যাল বা হোয়াটসঅ্যাপের মতো প্ল্যাটফর্মে অভ্যস্ত, তারা এক্সচ্যাটের গ্রুপ চ্যাট, ফাইল শেয়ারিং এবং ভবিষ্যতে ভ্যানিশিং মোডের মতো ফিচারগুলোকে আকর্ষণীয় মনে করতে পারে। তবে, এই ফিচারটি কি এক্স-কে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতিযোগিতায় এগিয়ে রাখবে? আপনার মতামত কী?