গুগল ফটোস আরও একধাপ এগিয়ে গেল এআই-চালিত নতুন ফিচারের মাধ্যমে। গুগলের সর্বশেষ ভিডিও জেনারেশন মডেল ভিও ৩ (Veo 3) এখন গুগল ফটোসে ইন্টিগ্রেট করা হয়েছে, যা ব্যবহারকারীদের জন্য সৃজনশীলতার নতুন দ্বার উন্মোচন করছে। এই আপডেটের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা তাদের স্থির ছবিগুলোকে উচ্চমানের ছোট ভিডিও ক্লিপে রূপান্তর করতে পারবেন, যা আগের তুলনায় আরও মসৃণ এবং বাস্তবসম্মত।
নতুন এই ফিচারগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘রিমিক্স’ নামে একটি টুল, যা ছবিগুলোকে অ্যানিমে, কমিক বুক ইলাস্ট্রেশন, ৩ডি অ্যানিমেশন বা এমনকি স্টুডিও জিবলি-অনুপ্রাণিত শৈলীতে রূপান্তর করতে পারে। এ ধরনের ছবি রূপান্তর ইন্টারনেটে বেশ জনপ্রিয়, এবং এখন গুগল ফটোস এটিকে আরও সহজ করে তুলেছে। এছাড়া, নতুন কোলাজ টুল ব্যবহারকারীদের একাধিক ছবি নির্বাচন করে পছন্দসই লেআউটে সাজানোর সুযোগ দেয়। এই কোলাজ মেকারের মধ্যেই একটি সাধারণ ইমেজ এডিটরও রয়েছে, যা ছবি সম্পাদনাকে আরও সুবিধাজনক করে।
এছাড়াও, ‘হাইলাইট’ টুল ব্যবহারকারীদের সার্চ প্রম্পটের ভিত্তিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিজ্যুয়াল মন্টেজ তৈরি করে, যেখানে সঙ্গীতও যুক্ত হয়। আরেকটি উল্লেখযোগ্য ফিচার হলো ‘সিনেম্যাটিক ফটোস’, যা বিদ্যমান ছবিগুলোকে ৩ডি রেন্ডারিংয়ে রূপান্তর করে। এই টুলগুলো একত্রে ব্যবহার করে ব্যবহারকারীরা অনন্য ছবি এবং ভিডিও তৈরি করতে পারেন, যা তাদের স্মৃতিগুলোকে আরও জীবন্ত করে তুলবে।
এই নতুন ফিচারগুলো গুগল ফটোসের ‘ক্রিয়েট’ ট্যাবে পাওয়া যাবে, যা বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবহারকারীদের জন্য উন্মুক্ত। তবে, বিনামূল্যে ব্যবহারকারীদের জন্য প্রতিদিন সীমিত সংখ্যক ইমেজ জেনারেশনের সুযোগ থাকবে। গুগল এআই প্রো এবং আলট্রা সাবস্ক্রাইবাররা বেশি সংখ্যক জেনারেশনের সুবিধা পাবেন।
গুগল ফটোস ছাড়াও, গুগল সম্প্রতি ইউটিউবে ভিও ৩ ইন্টিগ্রেশন নিয়ে এসেছে, যা দেখায় যে প্রতিষ্ঠানটি তাদের প্ল্যাটফর্মগুলোতে এআই-এর ব্যবহার বাড়াতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ?
বাংলাদেশে, যেখানে ফটোগ্রাফি এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় কনটেন্ট শেয়ারিং অত্যন্ত জনপ্রিয়, গুগল ফটোসের এই নতুন এআই টুলগুলো ব্যবহারকারীদের জন্য একটি সৃজনশীল খেলার মাঠ হয়ে উঠতে পারে। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম, যারা অ্যানিমে বা ৩ডি অ্যানিমেশনের মতো স্টাইল পছন্দ করে, তারা এই ফিচারগুলো দিয়ে তাদের ছবিগুলোকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে পারবে। তবে, সীমিত বিনামূল্যে জেনারেশনের কারণে অনেকে হয়তো প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশনের দিকে ঝুঁকবেন। আপনি কি এই ফিচারগুলো ব্যবহার করে আপনার ছবিগুলোকে জীবন্ত করতে চান? আপনার মতামত কী?