ওপেনএআই (OpenAI) তাদের নতুন জিপিটি-৫ কোডেক্স (GPT-5 Codex) মডেলটি সব কোডেক্স প্ল্যাটফর্মে ছড়িয়ে দিচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে টার্মিনাল (Terminal), আইডিই এক্সটেনশন (IDE Extension), এবং কোডেক্স ওয়েব (Codex Web) যা chatgpt.com/codex এ পাওয়া যায়। এই নতুন মডেলটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AI) মাধ্যমে কোডিংকে আরও সহজ ও কার্যকর করে তুলছে, এমনকি যারা প্রোগ্রামিং ভাষা না জানেন, তারাও এটি ব্যবহার করে অ্যাপ বা ওয়েব অ্যাপ তৈরি করতে পারবেন।
কোডেক্স একটি এআই এজেন্ট (AI Agent) যা কোডিং সম্পর্কিত জটিল কাজগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সম্পন্ন করতে পারে। আপনি এটির কাছে কাজ দিয়ে দেখতে পারেন কীভাবে এটি আপনার জন্য কোড লিখে ও চালায়। তবে, এখন পর্যন্ত কোডেক্স বাজারের শীর্ষস্থানীয় এআই কোডিং টুল ক্লড কোডের (Claude Code) তুলনায় কিছুটা পিছিয়ে ছিল।
ওপেনএআই তাদের ব্লগ পোস্টে জানিয়েছে, জিপিটি-৫ কোডেক্স মডেল বাস্তব কোডিং কাজে অসাধারণ ফলাফল দেখিয়েছে। এটি এসডব্লিউই-বেঞ্চ ভেরিফায়েড (SWE-bench Verified) বেঞ্চমার্কে ৭৪.৫% সাফল্যের হার অর্জন করেছে। এছাড়া, কোড রিফ্যাক্টরিং (Code Refactoring) মূল্যায়নে এটি জিপিটি-৫ এর ৩৩.৯% থেকে উন্নতি করে ৫১.৩% সাফল্য দেখিয়েছে। এই উন্নতি কোডেক্সকে আরও শক্তিশালী এবং প্রতিযোগিতামূলক করে তুলেছে।
তবে, জিপিটি-৫ কোডেক্স এখনও পুরোপুরি সবার জন্য উপলব্ধ হয়নি। যারা চ্যাটজিপিটি প্লাস (ChatGPT Plus) এর জন্য মাসে ২০ ডলার সাবস্ক্রিপশন ফি দিচ্ছেন, তারাও এখনও টার্মিনালে এই নতুন মডেলটি দেখতে পাননি। ওপেনএআই জানিয়েছে, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে এটি সবার জন্য পুরোপুরি চালু হবে।
বাংলাদেশের প্রযুক্তি উৎসাহী ও ডেভেলপারদের জন্য এটি একটি বড় সুযোগ। কোডিং জানা না জানা নির্বিশেষে, জিপিটি-৫ কোডেক্সের মাধ্যমে আপনি আপনার আইডিয়াগুলো দ্রুত বাস্তবে রূপ দিতে পারবেন। তবে, ক্লড কোডের সঙ্গে এই প্রতিযোগিতায় কোডেক্স কতটা এগিয়ে যেতে পারবে, তা দেখার বিষয়।
আপনি কি মনে করেন, এই নতুন মডেল বাংলাদেশের তরুণ ডেভেলপারদের কোডিংয়ের অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করবে? আপনার মতামত শেয়ার করুন!