চীন অভিযোগ করে এনভিডিয়া মেলানক্স অধিগ্রহণে অ্যান্টিট্রাস্ট আইন লঙ্ঘন করেছে

চীনের রেগুলেটর এনভিডিয়াকে অভিযুক্ত করেছে মেলানক্স অধিগ্রহণে অ্যান্টিট্রাস্ট আইন লঙ্ঘনের জন্য। ইউএস-চীন ট্রেড ওয়ারের নতুন অধ্যায়, জরিমানার আশঙ্কা। বিস্তারিত জানুন!

আনিস আফিফি
লিখেছেন:
আনিস আফিফি
লিখেছেন:আনিস আফিফি
সম্পাদক
আমি আনিস আফিফি — একজন উদ্যোক্তা এবং ওয়েব ডেভেলপার, যার একটি বড় স্বপ্ন হলো মানবজাতির জন্য পৃথিবীকে আরও ভালো একটি জায়গায় পরিণত করা। আমি ব্র্যান্ড তৈরি...
- সম্পাদক
রয়টার্স

চীনের একটি রেগুলেটরি সংস্থা এনভিডিয়াকে (NVIDIA) অভিযুক্ত করেছে দেশের অ্যান্টিট্রাস্ট আইন (Antitrust Law) লঙ্ঘন করার জন্য—এটি চিপমেকার মেলানক্স (Mellanox) কোম্পানি অধিগ্রহণের ঘটনায়। ডিসেম্বর মাস থেকে শুরু হওয়া তদন্তের প্রাথমিক ফলাফল জাতীয় বাজার নিয়ন্ত্রণ প্রশাসন (State Administration for Market Regulation বা SAMR) প্রকাশ করেছে। তাদের দাবি, এনভিডিয়া শুধু দেশীয় নিয়মকানুন ভঙ্গ করেনি, বরং চীন যখন ৬.৯ বিলিয়ন ডলারের এই ডিলকে শর্তসাপেক্ষে অনুমোদন দিয়েছিল, তখন তারা আরোপিত শর্তগুলোও পালন করেনি। এখনও কোনো জরিমানা ঘোষণা হয়নি, কারণ তদন্ত চলতেই থাকবে।

SAMR-এর প্রাথমিক সিদ্ধান্তটি কয়েক সপ্তাহ আগেই নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। ফিনান্সিয়াল পোস্টের সূত্র অনুসারে, রেগুলেটররা এখন পর্যন্ত স্টেটমেন্ট প্রকাশ করেনি, কারণ মাদ্রিদে ইউএস-চীন ট্রেড আলোচনা চলছে। এতে চীনা কর্মকর্তাদের হাতে বেশি লিভারেজ (লিভারেজ) থাকবে বলে ভাবা হয়েছে। (এই আলোচনাগুলোতে এখন পর্যন্ত টিকটকের (TikTok) জন্য একটা ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তি হয়েছে।)

এনভিডিয়া এবং মেলানক্স ২০১৯ সালে এই অধিগ্রহণ ঘোষণা করে। পরের বছর এপ্রিলে চীন এটাকে শর্তসাপেক্ষে অনুমোদন দেয়, যাতে এনভিডিয়া দেশে জিপিইউ (GPU) এবং ইন্টারকানেক্ট প্রোডাক্ট সরবরাহ চালিয়ে যাবে এবং ‘ফেয়ার, রিজনেবল অ্যান্ড নন-ডিসক্রিমিনেটরি প্রিন্সিপলস’ (ন্যায্য, যুক্তিসঙ্গত এবং অ-বৈষম্যমূলক নীতি) মেনে চলবে, সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের তথ্য অনুসারে।

গত মাসে খবর আসে যে, চীন দেশের কোম্পানিগুলোকে এনভিডিয়ার H20 চিপ কেনার থেকে বিরত করছে, যতক্ষণ না জাতীয় নিরাপত্তা পর্যালোচনা শেষ হয়। কর্মকর্তারা অসন্তুষ্ট হয়েছেন ইউএস কমার্স সেক্রেটারি হাওয়ার্ড লুটনিকের (Howard Lutnick) মন্তব্য নিয়ে। জুলাই মাসে ইউএস তিন মাসের নিষেধাজ্ঞার পর চীনকে চিপ সরবরাহের অনুমতি দেওয়ার পর লুটনিক বলেন, কোম্পানিটি সেখানে তার সবচেয়ে অ্যাডভান্সড টেক বিক্রি করবে না।

“আমরা তাদেরকে আমাদের সেরা জিনিস বিক্রি করি না, দ্বিতীয় সেরা নয়, এমনকি তৃতীয় সেরাও নয়। চতুর্থ নম্বরেরটা, আমরা চাই চীনা লোকেরা এটাই ব্যবহার করে যাক,” তিনি সিএনবিসি-তে বলেন। “ধারণাটা হলো, চীনারা নিজেরাই তৈরি করতে পারে। তুমি তাদের থেকে এক ধাপ এগিয়ে থাকতে চাও যাতে তারা আমাদের চিপ কিনতে থাকে। তুমি চীনাদের যথেষ্ট বিক্রি করতে চাও যাতে তাদের ডেভেলপাররা আমেরিকান টেকনোলজি স্ট্যাকের (Technology Stack) প্রতি আসক্ত হয়ে যায়।”

এই ঘটনাটি ইউএস-চীন ট্রেড ওয়ারের (Trade War) নতুন মোড় নিয়েছে, যেখানে এনভিডিয়ার মতো গ্লোবাল চিপ জায়ান্টরা কলহের মাঝখানে পড়ে গেছে। চীনের এই পদক্ষেপকে অনেকে ওয়াশিংটনের টেক এক্সপোর্ট রেস্ট্রিকশনের (Export Restrictions) প্রতিক্রিয়া বলে দেখছেন। SAMR-এর তদন্ত চললে এনভিডিয়ার উপর ১০ শতাংশ পর্যন্ত বার্ষিক বিক্রির জরিমানা হতে পারে, যা ১০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের টেক ইন্ডাস্ট্রির জন্য এটা একটা সতর্কবার্তা—গ্লোবাল সাপ্লাই চেইনের (Supply Chain) এই টেনশন কীভাবে আমাদের চিপ আমদানি বাড়িয়ে তুলতে পারে।

আপনার মতে, এই ট্রেড ওয়ার কি এনভিডিয়ার মতো কোম্পানিগুলোকে আরও সতর্ক করে তুলবে, নাকি চীনের নিজস্ব চিপ ইন্ডাস্ট্রিকে বুস্ট দেবে? মতামত শেয়ার করুন!

Avatar Of আনিস আফিফি
লিখেছেন:আনিস আফিফি
সম্পাদক
ফলো:
আমি আনিস আফিফি — একজন উদ্যোক্তা এবং ওয়েব ডেভেলপার, যার একটি বড় স্বপ্ন হলো মানবজাতির জন্য পৃথিবীকে আরও ভালো একটি জায়গায় পরিণত করা। আমি ব্র্যান্ড তৈরি করি, ডিজিটাল সমস্যাগুলোর সমাধান করি। এবং এমন একটি ভবিষ্যত তৈরি করতে চাই যা মানুষকে ক্ষমতায়িত করে।
মন্তব্য নেই

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

০%