এনভিডিয়া সবার জন্য উন্মুক্ত করল এআই ভয়েস অ্যানিমেশন প্রযুক্তি, গেমিংয়ে নতুন সম্ভাবনা

এনভিডিয়ার এআই ভয়েস অ্যানিমেশন টুল অডিও২ফেস এখন সবার জন্য উন্মুক্ত! গেমিং ও অ্যাপে ৩ডি অ্যানিমেশন তৈরির নতুন যুগ। বিস্তারিত জানুন।

আনিস আফিফি
লিখেছেন:
আনিস আফিফি
লিখেছেন:আনিস আফিফি
সম্পাদক
আমি আনিস আফিফি — একজন উদ্যোক্তা এবং ওয়েব ডেভেলপার, যার একটি বড় স্বপ্ন হলো মানবজাতির জন্য পৃথিবীকে আরও ভালো একটি জায়গায় পরিণত করা। আমি ব্র্যান্ড তৈরি...
- সম্পাদক

প্রযুক্তি জগতের দৈত্য এনভিডিয়া (Nvidia) তাদের এআই-চালিত অডিও২ফেস (Audio2Face) টুলটি ওপেন সোর্স করার ঘোষণা দিয়েছে। এই টুলটি অডিও ইনপুটের মাধ্যমে ৩ডি অবতারের জন্য বাস্তবসম্মত মুখের অ্যানিমেশন তৈরি করে। এই পরিবর্তনের ফলে ডেভেলপাররা এখন এই টুল এবং এর অন্তর্নিহিত ফ্রেমওয়ার্ক ব্যবহার করে তাদের গেম এবং অ্যাপের জন্য বাস্তবসম্মত ৩ডি চরিত্র তৈরি করতে পারবেন।

অডিও২ফেস কীভাবে কাজ করে? এটি কণ্ঠস্বরের “অ্যাকোস্টিক ফিচার” বিশ্লেষণ করে এবং সেই তথ্য ব্যবহার করে ৩ডি অবতারের মুখের ভাব ও ঠোঁটের নড়াচড়ার জন্য অ্যানিমেশন ডেটা তৈরি করে। এনভিডিয়া জানিয়েছে, ডেভেলপাররা এই টুল ব্যবহার করে প্রি-স্ক্রিপ্টেড কনটেন্টের জন্য ৩ডি চরিত্র তৈরি করতে পারবেন, এমনকি লাইভস্ট্রিমের জন্যও এটি ব্যবহার করা যাবে।

ইতিমধ্যে কিছু ডেভেলপার এই টুল ব্যবহার করেছেন। উদাহরণস্বরূপ, চেরনোবিলাইট ২: এক্সক্লুশন জোন (Chernobylite 2: Exclusion Zone) গেমের নির্মাতা ফার্ম৫১ (Farm51) এবং এলিয়েন: রোগ ইনকার্শন ইভলভড এডিশন (Alien: Rogue Incursion Evolved Edition)-এর ডেভেলপাররা এই প্রযুক্তি ব্যবহার করেছেন।

এনভিডিয়া শুধু অডিও২ফেস মডেল এবং সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট কিট (SDK) ওপেন সোর্স করেনি, বরং এই টুলের প্রশিক্ষণ ফ্রেমও উপলব্ধ করেছে। এর ফলে ব্যবহারকারীরা বিভিন্ন প্রয়োজন অনুযায়ী মডেলগুলো কাস্টমাইজ করতে পারবেন।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে তাৎপর্য

বাংলাদেশের গেমিং এবং অ্যানিমেশন ইন্ডাস্ট্রির জন্য এটি একটি বড় সুযোগ। দেশে গেম ডেভেলপমেন্ট এবং অ্যানিমেশন সেক্টর ক্রমশ বাড়ছে, এবং এনভিডিয়ার এই ওপেন-সোর্স টুল তরুণ ডেভেলপারদের জন্য নতুন দ্বার উন্মোচন করবে। বাংলাদেশের গেম ডেভেলপাররা এই টুল ব্যবহার করে কম খরচে উচ্চমানের ৩ডি চরিত্র তৈরি করতে পারবেন, যা তাদের গেমগুলোকে বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতামূলক করবে। এছাড়াও, স্থানীয় অ্যানিমেশন স্টুডিও এবং কনটেন্ট ক্রিয়েটররা লাইভস্ট্রিম বা ভিডিও কনটেন্টের জন্য এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে দর্শকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় উপস্থাপনা তৈরি করতে পারবেন।

এই উদ্যোগ বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মকে এআই প্রযুক্তির সঙ্গে আরও পরিচিত হতে উৎসাহিত করবে। সরকার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এই ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করলে, বাংলাদেশের টেক ইন্ডাস্ট্রি আরও এগিয়ে যেতে পারে। এনভিডিয়ার এই পদক্ষেপ গেমিং এবং অ্যানিমেশনের ভবিষ্যৎ গড়তে বাংলাদেশের ডেভেলপারদের জন্য একটি উৎসাহব্যঞ্জক সুযোগ।

Avatar Of আনিস আফিফি
লিখেছেন:আনিস আফিফি
সম্পাদক
ফলো:
আমি আনিস আফিফি — একজন উদ্যোক্তা এবং ওয়েব ডেভেলপার, যার একটি বড় স্বপ্ন হলো মানবজাতির জন্য পৃথিবীকে আরও ভালো একটি জায়গায় পরিণত করা। আমি ব্র্যান্ড তৈরি করি, ডিজিটাল সমস্যাগুলোর সমাধান করি। এবং এমন একটি ভবিষ্যত তৈরি করতে চাই যা মানুষকে ক্ষমতায়িত করে।
মন্তব্য নেই

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

০%