গুগল সম্প্রতি একটা সাপোর্ট পেজ প্রকাশ করেছে, যেখানে ব্যাখ্যা করা হয়েছে কীভাবে তারা জানুয়ারি ২০২৬ থেকে গুগল মেইল (Gmail)-কে পুনর্বিন্যাস করবে দুটো ফিচার সরিয়ে। অনেক ইউজার এই দুটো ফিচারের উপর নির্ভর করে চলেছে: প্রথমত, গুগলিফাই এক্সটেনশন (Gmailify extension), এবং দ্বিতীয়ত, পপ প্রোটোকল (POP protocol) দিয়ে ইমেইল রিট্রিভ করা।
গুগলিফাই-এর উপকারিতা শেষ গুগলিফাই ২০১৬ সালে চালু হয় এবং এটা বাহিরের ইমেইল অ্যাকাউন্টগুলোকে—যেমন য়াহু! (Yahoo!) বা আউটলুক (Outlook)—গুগল মেইলের কিছু অতিরিক্ত সুবিধা দিয়ে আপগ্রেড করতে সাহায্য করত। এর মধ্যে ছিল নির্ভরযোগ্য স্প্যাম ফিল্টার (spam filter), ইনবক্সকে অটোমেটিক ক্যাটাগরিতে সর্ট করা, স্মার্টফোনে ভালো পুশ নোটিফিকেশন (push notifications), এবং স্পেশাল অপারেটরসহ এক্সটেন্ডেড সার্চ ফাংশন।
জানুয়ারি ২০২৬ থেকে এই সুবিধাগুলো আর পাওয়া যাবে না। তাই, গুগল মেইলে থার্ড-পার্টি ইমেইল অ্যাকাউন্ট ব্যবহারকারীরা পরের বছর থেকে এই অতিরিক্ত সুবিধা ছাড়াই চালাতে হবে।
গুগল মেইলে পপ সাপোর্টের শেষ পপ প্রোটোকল দিয়ে ইমেইল রিট্রিভ করার অপশনও বন্ধ হয়ে যাবে। আগে গুগল মেইল ইউজাররা অন্য ইমেইল অ্যাকাউন্ট থেকে মেসেজ সরাসরি গুগল মেইলে ইন্টিগ্রেট করতে পারত। জানুয়ারি থেকে এই “অন্য অ্যাকাউন্ট থেকে মেসেজ রিট্রিভ করা” অপশন আর থাকবে না।
এর বদলে, গুগল ইম্যাপের (IMAP) দিকে ইঙ্গিত করবে, যা বেশিরভাগ ইমেইল প্রোভাইডার সমর্থন করে এবং এটাকে আধুনিক স্ট্যান্ডার্ড মনে করা হয়। ইউজারদের উচিত তাদের ইমেইল প্রোভাইডারের সেটিংস চেক করা যে ইম্যাপ অ্যাকটিভ কি না, এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পপ থেকে ইম্যাপে সুইচ করা।
কী থাকবে একই রকম? এই পরিবর্তনগুলো শুধু ভবিষ্যতের ইমেইলগুলোকে প্রভাবিত করবে। গুগল মেইল অ্যাকাউন্টে ইতিমধ্যে সিঙ্ক হয়ে যাওয়া ইমেইলগুলো একই থাকবে। বাহিরের অ্যাকাউন্টগুলো গুগল মেইল অ্যাপে এখনও ব্যবহার করা যাবে, কিন্তু শুধু ইম্যাপের মাধ্যমে।
গুগল এছাড়া ওয়ার্ক বা এডুকেশন অ্যাকাউন্টের ইউজারদের বলছে, যদি গুগল ওয়ার্কস্পেস (Google Workspace) মাইগ্রেশন দরকার হয়, তাহলে অ্যাডমিনিস্ট্রেটরদের সাথে যোগাযোগ করুন।
অনেক গুগল মেইল ইউজারের জন্য এই পরিবর্তনগুলো নতুন সিস্টেমে অভ্যস্ত হওয়ার মানে হবে। যারা আগে গুগলিফাই দিয়ে বাহিরের অ্যাকাউন্ট আপগ্রেড করত বা পপ দিয়ে ইন্টিগ্রেট করত, তাদের জানুয়ারি ২০২৬-এর মধ্যে ইম্যাপে সুইচ করতে হবে এবং স্প্যাম ফিল্টার বা অটোমেটিক সর্টিংয়ের মতো কিছু সুবিধা ছেড়ে দিতে হবে।
এই খবর আমাদের মনে করিয়ে দেয়, কীভাবে টেক জায়ান্টরা তাদের সার্ভিস আপডেট করে—বাংলাদেশের মতো দেশে, যেখানে অনেকে গুগল মেইলকে দৈনন্দিন কাজকর্মের জন্য ব্যবহার করে, এমন পরিবর্তন আমাদের ইমেইল রুটিনকে একটু বদলে দিতে পারে। তাই এখনই সেটিংস চেক করে নিন, না হলে পরে ঝামেলায় পড়বেন!