টেকক্রাঞ্চের সাথে যোগাযোগের সময় অ্যালিয়ান্স লাইফের মুখপাত্র ব্রেট ওয়েইনবার্গ এই তথ্য চুরির ঘটনা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, “২০২৫ সালের ১৬ জুলাই, একজন ক্ষতিকর হ্যাকার অ্যালিয়ান্স লাইফের ব্যবহৃত তৃতীয় পক্ষের ক্লাউড-ভিত্তিক সিআরএম (কাস্টমার রিলেশনশিপ ম্যানেজমেন্ট) সিস্টেমে প্রবেশ করে।” এই ডাটাবেসে গ্রাহকদের তথ্য ছিল, এবং হ্যাকাররা সামাজিক প্রকৌশল কৌশল ব্যবহার করে অ্যালিয়ান্স লাইফের বেশিরভাগ গ্রাহক, আর্থিক পেশাদার এবং কিছু নির্বাচিত কর্মচারীর ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে।
কোম্পানিটি শনিবার মেইন রাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে একটি আইনি ফাইলিংয়ের মাধ্যমে এই তথ্য চুরির ঘটনা প্রকাশ করে, তবে ঠিক কতজন গ্রাহক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তার সংখ্যা এখনও জানায়নি। মুখপাত্রের মতে, অ্যালিয়ান্স লাইফের মোট ১৪ লাখ গ্রাহক রয়েছে। তাদের মূল কোম্পানি অ্যালিয়ান্সের বিশ্বব্যাপী ১২৫ মিলিয়নেরও বেশি গ্রাহক রয়েছে।
অ্যালিয়ান্স লাইফ জানিয়েছে, তারা এফবিআইকে বিষয়টি জানিয়েছে এবং তাদের নেটওয়ার্কের অন্য কোনও সিস্টেমে হ্যাকাররা প্রবেশ করেছে, এমন কোনও প্রমাণ পায়নি।
কোম্পানিটি জানায়নি যে হ্যাকারদের কাছ থেকে তারা কোনও মুক্তিপণের দাবি পেয়েছে কিনা, এবং এই হামলার জন্য কোনও নির্দিষ্ট হ্যাকিং গ্রুপকে দায়ী করেনি।
গত এক মাসে বীমা শিল্পে বেশ কয়েকটি তথ্য চুরির ঘটনার মধ্যে অ্যালিয়ান্স লাইফ সর্বশেষ শিকার। এর আগে অ্যাফ্ল্যাকের মতো বড় বীমা প্রতিষ্ঠানও এ ধরনের হামলার শিকার হয়েছে। গুগলের নিরাপত্তা গবেষকরা জুনে জানিয়েছিলেন, বীমা খাতে একাধিক হামলার পেছনে ‘স্ক্যাটারড স্পাইডার’ নামে একটি হ্যাকার গোষ্ঠী জড়িত, যারা সামাজিক প্রকৌশল কৌশল ব্যবহার করে কোম্পানির নেটওয়ার্কে প্রবেশের জন্য হেল্পডেস্ক কর্মীদের প্রতারণা করে।
এর আগে স্ক্যাটারড স্পাইডার গ্রুপটি যুক্তরাজ্যের খুচরা শিল্প, বিমান চলাচল, এবং পরিবহন খাতে হামলা চালিয়েছে এবং সিলিকন ভ্যালির প্রযুক্তি জায়ান্টদের টার্গেট করার জন্যও পরিচিত।
মেইন ফাইলিং অনুসারে, অ্যালিয়ান্স লাইফ আগামী ১ আগস্ট থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের অবহিত করা শুরু করবে।
এই ঘটনা বীমা শিল্পের জন্য সাইবার নিরাপত্তার গুরুত্ব আরও একবার তুলে ধরেছে। আপনার ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিয়মিত আপনার ক্রেডিট রিপোর্ট পরীক্ষা করুন এবং সন্দেহজনক কোনও কার্যকলাপ দেখলে তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানান।