প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের H-1B ভিসা আবেদনের নিয়মে ব্যাপক পরিবর্তনের খবর শুনে বড় বড় টেক কোম্পানিগুলো তাদের কর্মীদের সতর্ক করেছে—যাদের এই ভিসা আছে, তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের হয়ে যাবেন না। একাধিক মিডিয়া রিপোর্টে এই খবর উঠে এসেছে, যা ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার হাজার হাজার আইটি কর্মীদের জন্য একটা বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
শুক্রবার হোয়াইট হাউস ঘোষণা করেছে যে ট্রাম্প একটা ঘোষণাপত্রে সই করেছেন, যাতে নিয়োগকর্তাদের H-1B ভিসা আবেদনের জন্য ১ লাখ ডলার ফি দিতে হবে। এর জবাবে অ্যামাজন, গুগল এবং মাইক্রোসফট তাদের কর্মীদের ইমেইলে জানিয়েছে, যাদের H-1B ভিসা আছে, তারা এখনই বিদেশী ভ্রমণ এড়িয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থেকে যান—আর যদি ইতিমধ্যে বিদেশে থাকেন, তাহলে রবিবার ভোর ১২:০১-এ (ইস্টার্ন টাইম) ঘোষণাপত্র কার্যকর হওয়ার আগেই ফিরে আসার চেষ্টা করুন।
বিজনেস ইনসাইডার অ্যামাজন এবং মাইক্রোসফটের মেমো প্রকাশ করেছে, যখন সোর্সেস গুগলের একটা অনুরূপ মেমো শেয়ার করেছে। মাইক্রোসফটের একজন স্পোকসপারসন মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন, আর টেকক্রাঞ্চ অ্যামাজন এবং গুগলের সাথে যোগাযোগ করেছে।
সরকারি তথ্য অনুসারে, এই ফিসকাল ইয়ারে অ্যামাজনের কর্মীরা সবচেয়ে বেশি H-1B ভিসা পেয়েছে, তারপর তাতা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস, মাইক্রোসফট, মেটা এবং অ্যাপল—গুগল ষষ্ঠ স্থানে। এই তালিকায় ভারতীয় আইটি জায়ান্ট তাতার নাম দেখে বোঝা যায়, আমাদের দেশের তরুণ ডেভেলপাররা কতটা নির্ভরশীল এই ভিসার ওপর, যা তাদের স্বপ্নের মার্কিন চাকরি পেতে সাহায্য করে।
এদিকে, হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তা অ্যাক্সিয়াসকে বলেছেন যে এই ফি শুধু নতুন আবেদনকারীদের জন্য প্রযোজ্য, বিদ্যমান H-1B ধারক বা রিনিউয়ালের ক্ষেত্রে নয়। তবু এই হঠাৎ পরিবর্তন টেক ইন্ডাস্ট্রিতে বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে দিয়েছে, কারণ কোম্পানিগুলোকে এখন ভাবতে হচ্ছে—এত টাকা খরচ করে প্রত্যেকটা বিদেশী কর্মীকে রাখা যাবে কি না? ভারতীয় আইটি কর্মীরা এখন আটকে পড়ার ভয়ে কাঁপছেন, আর এটা আমাদের দেশের রেমিট্যান্স এবং ট্যালেন্ট এক্সপোর্টকেও প্রভাবিত করতে পারে।