অ্যাপলের সাম্প্রতিক ‘অ্যাও ড্রপিং’ ইভেন্টটা শুরু হয়েছিল অ্যাপল ওয়াচ ইউজারদের হৃদয়স্পর্শী স্বাস্থ্য-সম্পর্কিত সাক্ষ্য দিয়ে, যা যেন সবাইকে চমকে দিয়েছে। তারপর আসল খবর: নতুন ওয়াচ সিরিজ ১১-এর একটা গুরুত্বপূর্ণ নতুন ফিচার—হাইপারটেনশন অ্যালার্ট। ইভেন্টের সময় এই ফিচারটা এখনও এফডিএ (FDA)-এর ক্লিয়ারেন্স পায়নি, কিন্তু এখন সেটা মিলেছে—প্রথমে ব্লুমবার্গ রিপোর্ট করে, এবং অ্যাপল নিজেই কনফার্ম করেছে। ফলে, ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে ওয়াচ ১১ এবং আলট্রা ওয়াচ ৩ শিপিং শুরু হলে এটা ১৫০টি দেশের ইউজারদের জন্য উপলব্ধ হবে।
হাইপারটেনশন অ্যালার্ট ফিচারটা উচ্চ রক্তচাপ (হাইপারটেনশন) ধরতে সাহায্য করবে, যা একটা গুরুতর অবস্থা এবং বিশ্বে ১৩০ কোটিরও বেশি মানুষকে প্রভাবিত করে। এটা ওয়াচের অপটিক্যাল হার্ট সেন্সরের উপর নির্ভর করে, কিন্তু এখন নতুন মেশিন লার্নিং অ্যালগরিদম ব্যবহার করে—যা ১ লাখেরও বেশি অংশগ্রহণকারীর একটা স্টাডি থেকে ডেটা নিয়ে উচ্চ রক্তচাপের লক্ষণ খুঁজে বেড়ায়। এটা ব্যাকগ্রাউন্ডে এক মাসের সময়কালে কাজ করে হাইপারটেনশন-সম্পর্কিত প্যাটার্ন খোঁজে। সাধারণ রক্তচাপ মাপার ডিভাইসের মতো এটা আপনার নির্দিষ্ট রক্তচাপের সংখ্যা দেয় না, বরং শুধু বলে যে ‘হয়তো বিপদ আছে’—যাতে আপনি দ্রুত ডাক্তারের কাছে যেতে পারেন।
গত বছর অ্যাপল এফডিএ ক্লিয়ারেন্স পেয়েছে তার ওভার-দ্য-কাউন্টার হিয়ারিং এইড ফিচারের জন্য, যা সেকেন্ড-জেন এয়ারপডস প্রোকে মাইল্ড-টু-মডারেট হিয়ারিং লসের মানুষের জন্য ওটিসি হিয়ারিং এইডে পরিণত করে। আরেকটা সাম্প্রতিক অনুমোদিত ফিচার হলো স্লিপ অ্যাপনিয়া ডিটেকশন। তবে, কোম্পানিটা এখন অ্যাপল ওয়াচের রিডিজাইন করা ব্লাড অক্সিজেন মনিটরিং ফিচার নিয়ে একটা মামলার মুখোমুখি—যা এই স্বাস্থ্য-কেন্দ্রিক অগ্রগতির মাঝে একটা ছায়া ফেলেছে।
বাংলাদেশের মতো দেশে, যেখানে হাইপারটেনশনের রোগী সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে এবং স্বাস্থ্যসেবা সবার জন্য সহজলভ্য নয়, এই ফিচারটা যেন একটা বড় সাহায্য হয়ে উঠবে। অ্যাপল ওয়াচের মাধ্যমে আপনার হাতে থাকা এই ‘স্মার্ট ডাক্তার’ কি আপনার জীবন বাঁচাতে পারবে? আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন!