ব্ল্যাকসুট র‍্যানসমওয়্যার গ্যাংয়ের সার্ভার জব্দ করলো কর্তৃপক্ষ

ব্ল্যাকসুট র‍্যানসমওয়্যার গ্যাংয়ের সার্ভার জব্দ। যুক্তরাষ্ট্র-ইউরোপের যৌথ অভিযানে ১৮৪ ভিকটিমের তথ্য সুরক্ষিত।

আনিস আফিফি
লিখেছেন:
আনিস আফিফি
লিখেছেন:আনিস আফিফি
সম্পাদক
আমি আনিস আফিফি — একজন উদ্যোক্তা এবং ওয়েব ডেভেলপার, যার একটি বড় স্বপ্ন হলো মানবজাতির জন্য পৃথিবীকে আরও ভালো একটি জায়গায় পরিণত করা। আমি ব্র্যান্ড তৈরি...
- সম্পাদক
ছবির সৌজন্যে: গেটি ইমেজেস

জার্মান প্রসিকিউটররা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের একটি যৌথ অভিযানে কুখ্যাত ব্ল্যাকসুট র‍্যানসমওয়্যার গ্যাংয়ের সার্ভার এবং সিস্টেম জব্দ করা হয়েছে। এই হ্যাকিং গ্রুপটি গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকটি বড় ধরনের সাইবার হামলার জন্য দায়ী।

জার্মান কর্তৃপক্ষের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ জুলাই এই অভিযান পরিচালিত হয়। এতে গ্যাংয়ের সার্ভার বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং র‍্যানসমওয়্যার ম্যালওয়্যারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। অভিযানে “উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ডেটা” সংগ্রহ করা হয়েছে, যা এই হামলার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে সহায়তা করবে। বিবৃতি অনুসারে, ব্ল্যাকসুট বিশ্বব্যাপী ১৮৪টি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে লক্ষ্যবস্তু করেছে, যার মধ্যে জার্মানিতেও বেশ কিছু শিকার রয়েছে।

বর্তমানে, ব্ল্যাকসুটের ডার্ক ওয়েবে থাকা লিক সাইটটি আর কাজ করছে না। এই সাইটটি তারা ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায় এবং চুরি করা ফাইল প্রকাশের জন্য ব্যবহার করতো। এখন সেখানে একটি জব্দ নোটিশ প্রদর্শিত হচ্ছে, যেখানে বলা হয়েছে, “আন্তর্জাতিক আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সমন্বিত তদন্তে সাইটটি বন্ধ করা হয়েছে।”

জার্মান কর্তৃপক্ষের মতে, এই অভিযানে যুক্তরাষ্ট্রের আইসিই-এর হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ইনভেস্টিগেশন ইউনিট এবং ইউরোপোল সহায়তা করেছে। তবে আইসিই-এর প্রতিনিধিরা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

একটি প্রতিবেদন অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষ এই জব্দের বিষয়টি সপ্তাহের শুরুতে প্রকাশ করেছিল। তবে এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কিনা, তা স্পষ্ট নয়।

ব্ল্যাকসুট গত কয়েক বছরে সবচেয়ে সক্রিয় র‍্যানসমওয়্যার গ্রুপগুলোর একটি। এটি যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসের মতো শহর এবং উৎপাদন, যোগাযোগ ও স্বাস্থ্যসেবা খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। ২০২৪ সালে, যুক্তরাষ্ট্রের সাইবার নিরাপত্তা সংস্থা সিআইএসএ সতর্ক করে জানিয়েছিল যে, এই গ্রুপটি ‘রয়্যাল’ নাম থেকে ‘ব্ল্যাকসুট’ নামে রিব্র্যান্ড করেছে। র‍্যানসমওয়্যার গ্রুপগুলোর মধ্যে এমন নাম পরিবর্তন বা অন্য গ্রুপের সঙ্গে একীভূত হওয়া সাধারণ, যাতে সরকারি নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে তারা সাইবার হামলা থেকে লাভবান হতে পারে।

নিরাপত্তা গবেষকরা জানিয়েছেন, ব্ল্যাকসুটের প্রাক্তন সদস্যরা সম্ভবত নতুন একটি র‍্যানসমওয়্যার গ্রুপ ‘ক্যাওস’ গঠন করেছে।

Avatar Of আনিস আফিফি
লিখেছেন:আনিস আফিফি
সম্পাদক
ফলো:
আমি আনিস আফিফি — একজন উদ্যোক্তা এবং ওয়েব ডেভেলপার, যার একটি বড় স্বপ্ন হলো মানবজাতির জন্য পৃথিবীকে আরও ভালো একটি জায়গায় পরিণত করা। আমি ব্র্যান্ড তৈরি করি, ডিজিটাল সমস্যাগুলোর সমাধান করি। এবং এমন একটি ভবিষ্যত তৈরি করতে চাই যা মানুষকে ক্ষমতায়িত করে।
মন্তব্য নেই

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

০%