গুগল তাদের নতুন এবং সাশ্রয়ী মূল্যের এআই প্লাস প্ল্যান (AI Plus Plan) এখন বিশ্বের ৪০টিরও বেশি দেশে উপলব্ধ করেছে, যার মধ্যে বাংলাদেশ, আঙ্গোলা, ক্যামেরুন, কোট ডি’আইভরি, মিশর, ঘানা, ইন্দোনেশিয়া, কেনিয়া, মেক্সিকো, নেপাল, নাইজেরিয়া, ফিলিপাইন, সেনেগাল, উগান্ডা, ভিয়েতনাম এবং জিম্বাবুয়ের মতো দেশগুলো রয়েছে। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে গুগল তাদের উন্নত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence) প্রযুক্তি আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়েছে।
গুগল এই এআই প্লাস প্ল্যান প্রথমে ইন্দোনেশিয়ায় চালু করেছিল এই মাসের শুরুতে, যেখানে এর মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে মাসে ৭৫,০০০ রুপিয়াহ (প্রায় ৪.৫০ মার্কিন ডলার)। বেশিরভাগ দেশে এই প্ল্যানের মূল্য প্রায় ৫ ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে, নেপাল এবং মেক্সিকোর মতো কিছু দেশে গুগল প্রথম ছয় মাসের জন্য ৫০% মূল্য ছাড় দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে, যা ব্যবহারকারীদের জন্য আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে।
এই প্লাস প্ল্যানের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা গুগলের অত্যাধুনিক এআই মডেল জেমিনি ২.৫ প্রো (Gemini 2.5 Pro) ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়াও, ফ্লো (Flow), হুইস্ক (Whisk) এবং ভিও ৩ ফাস্ট (Veo 3 Fast)-এর মতো টুল ব্যবহার করে ছবি এবং ভিডিও তৈরির সুবিধা পাবেন। ব্যবহারকারীরা গুগলের এআই গবেষণা সহকারী নোটবুকএলএম (NotebookLM)-এর অতিরিক্ত ফিচার, জিমেইল (Gmail), গুগল ডক্স (Docs) এবং শিটস (Sheets)-এ এআই ব্যবহারের সুবিধা এবং ২০০ গিগাবাইট ক্লাউড স্টোরেজ পাবেন। এই সুবিধাগুলো বাংলাদেশের ব্যবহারকারীদের জন্য কাজকে আরও দক্ষ এবং সৃজনশীল করে তুলবে।
এই ঘোষণার একদিন আগে ওপেনএআই (OpenAI) তাদের ৫ ডলারের কম মূল্যের চ্যাটজিপিটি গো (ChatGPT Go) প্ল্যান ইন্দোনেশিয়ায় প্রসারিত করেছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, ভারত, যেখানে ওপেনএআই তাদের চ্যাটজিপিটি গো প্ল্যান প্রথম চালু করেছিল, গুগলের এই তালিকায় অনুপস্থিত।
গুগল এবং ওপেনএআই উভয়ই তাদের ২০ ডলার মাসিক বেস প্ল্যান অফার করে, কিন্তু এই নতুন, সাশ্রয়ী সাবস্ক্রিপশন প্ল্যানগুলোর মাধ্যমে তারা এমন অঞ্চলের ব্যবহারকারীদের আকর্ষণ করতে চায় যেখানে ২০ ডলারের সাবস্ক্রিপশন অনেকের জন্য ব্যয়বহুল। বাংলাদেশের মতো দেশে, যেখানে সাশ্রয়ী ডিজিটাল সেবার চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে, এই প্ল্যানটি শিক্ষার্থী, ফ্রিল্যান্সার এবং ছোট ব্যবসায়ীদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী হতে পারে।
এই সাশ্রয়ী এআই প্ল্যান বাংলাদেশের প্রযুক্তি উৎসাহীদের জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করবে, যা তাদের কাজের দক্ষতা এবং সৃজনশীলতাকে আরও বাড়িয়ে তুলবে। গুগলের এই পদক্ষেপ ডিজিটাল বৈষম্য কমাতে এবং প্রযুক্তির সুবিধা আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।