মেটা যদি তাদের প্রজেক্ট ওরিয়ন অগমেন্টেড রিয়েলিটি চশমাকে সত্যিকারের একটা পণ্যে পরিণত করতে পারে, যা মানুষ কিনতে পারবে, তাহলে পরবর্তী ধাপে তারা রোবটের জগতে ঢোকার পরিকল্পনা করছে। এই খবর দিয়েছেন সোর্সেসের অ্যালেক্স হিথ, যিনি মেটার সিটিও অ্যান্ড্রু বসওয়ার্থের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁর রিপোর্ট অনুসারে, অ্যাপল, গুগল আর টেসলার মতো মেটাও রোবটিক্স নিয়ে গবেষণা করছে।
তবে অন্য কোম্পানিগুলোর মতো মেটা হার্ডওয়্যারের প্রতিযোগিতায় খুব একটা মনোযোগী নয়। তাদের একটা ‘মেটাবট’ তৈরির কাজ চলছে, কিন্তু আসল লক্ষ্য হলো এমন সফটওয়্যার বানানো যা অন্য কোম্পানি লাইসেন্স নিয়ে ব্যবহার করতে পারবে—যেমন গুগল অ্যান্ড্রয়েড দিয়ে করে। বসওয়ার্থের কথায়, ‘সফটওয়্যারই হলো বাধা’, আর আশা করা হচ্ছে যে মেটার রোবটিক্স টিম—যার নেতৃত্বে আছেন ক্রুজের সাবেক সিইও মার্ক হুইটেন—এবং তাদের বিখ্যাত সুপারইনটেলিজেন্স ল্যাবস মিলে এর সমাধান বের করবে।
এই কাজ শুরু হচ্ছে একটা ‘ওয়ার্ল্ড মডেল’ তৈরি করে, যা রোবটকে সাহায্য করবে সফটওয়্যার সিমুলেশনের মাধ্যমে একটা দক্ষ হাতকে চালিত করতে। পরে এটা আরও জটিল চলাচল আর কাজের জন্য বাড়ানো হবে। ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে খবর ছিল যে মেটা এমন রোবট বানানোর চেষ্টা করছে যা ঘরের কাজকর্ম যেমন পরিষ্কার করা বা কাপড় ভাঁজ করা সামলাতে পারবে। কিন্তু সবকিছু এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে, তাই এটা বাস্তবে আসতে অনেক সময় লাগবে।
মেটা একা নয় এই রোবটিক্সের পথে। অ্যাপল কথিত আছে তাদের নিজস্ব ঘরোয়া রোবট নিয়ে কাজ করছে, যা শুরু হবে একটা টেবিল-মাউন্টেড আর্ম আর ডিসপ্লে দিয়ে। টেসলা তো নিয়মিত তাদের অপটিমাস রোবটের ডেমো দেখায়, যদিও বেশিরভাগ সময় নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে। মেটা এখনও তাদের এআর চশমা দিয়ে স্মার্টফোনের জায়গা দখল করার লক্ষ্য পূরণ করতে পারেনি। সেটা হোক বা না হোক, মনে হচ্ছে পরবর্তীতে তারা রোবটের উপর টাকা ঢালবে। এই উদ্যোগগুলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে কতটা সহজ করে তুলবে, সেটাই দেখার বিষয়—বাংলাদেশের মতো দেশে যেখানে ঘরের কাজ এখনও হাতে-করা, এমন প্রযুক্তি একটা বিপ্লব আনতে পারে।