যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগে লাইসেন্সিং আবেদনের জটিলতার কারণে এনভিডিয়ার এইচ২০ এআই চিপ চীনে বিক্রির অনুমতি পেতে বিলম্ব হচ্ছে। রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জুলাইয়ের শুরুতে বাণিজ্য সচিব হাওয়ার্ড লুটনিক এনভিডিয়ার মতো চিপ নির্মাতাদের চীনে নির্দিষ্ট কিছু এআই চিপ বিক্রির অনুমতি দিয়েছিলেন। কিন্তু তার বিভাগই এখন এই প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করছে।
বাণিজ্য বিভাগে কর্মী সংকট এবং শিল্পের সঙ্গে যোগাযোগের ঘাটতির কারণে লাইসেন্সিং আবেদনের একটি বড় জটিলতা তৈরি হয়েছে। এই বিলম্বের ফলে এনভিডিয়া এখনও তাদের এইচ২০ এআই চিপ চীনে বিক্রির জন্য প্রয়োজনীয় লাইসেন্স পায়নি। এই চিপটি বিশেষভাবে চীনের বাজারের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, যাতে যুক্তরাষ্ট্রের রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখা যায়।
এদিকে, জাতীয় নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা ট্রাম্প প্রশাসনের কাছে এইচ২০ চিপ চীনে বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন। তাদের মতে, এই চিপগুলো চীনের সামরিক সক্ষমতা বাড়াতে ব্যবহৃত হতে পারে, যা যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি। এই উদ্বেগের মধ্যে বাণিজ্য বিভাগের বিলম্ব এনভিডিয়ার কৌশলগত পরিকল্পনা এবং ২০২৫ সালের আয়ের লক্ষ্যমাত্রাকে প্রভাবিত করছে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই ঘটনা তাৎপর্যপূর্ণ কারণ এটি বৈশ্বিক প্রযুক্তি বাণিজ্য এবং ভূ-রাজনৈতিক গতিশীলতার সঙ্গে জড়িত। এনভিডিয়ার এইচ২০ চিপের মতো উন্নত প্রযুক্তি এআই উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, এবং এর রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রযুক্তি বাজারে প্রভাব ফেলতে পারে। বাংলাদেশের ডেভেলপার এবং প্রযুক্তি উৎসাহীরা এই ধরনের চিপের উপর নির্ভরশীল হতে পারে এআই-চালিত অ্যাপ্লিকেশন তৈরির জন্য। তবে, এই বিলম্ব এবং নিষেধাজ্ঞার ফলে বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খলে বাধা সৃষ্টি হতে পারে, যা পরোক্ষভাবে বাংলাদেশের প্রযুক্তি খাতকেও প্রভাবিত করতে পারে।
এই পরিস্থিতি যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ প্রশাসনিক চ্যালেঞ্জ এবং জাতীয় নিরাপত্তার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরে। এনভিডিয়ার মতো প্রতিষ্ঠানের জন্য চীনের মতো লাভজনক বাজারে প্রবেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু জাতীয় নিরাপত্তার উদ্বেগ এই প্রক্রিয়াকে জটিল করে তুলছে। আগামী দিনগুলোতে এই বিলম্ব সমাধানের দিকে বাণিজ্য বিভাগ কী পদক্ষেপ নেয়, তা এনভিডিয়ার ব্যবসায়িক কৌশল এবং বৈশ্বিক এআই প্রতিযোগিতার উপর গভীর প্রভাব ফেলবে।