ডিওজিই এআই টুলের মাধ্যমে অর্ধেক ফেডারেল নিয়ম-কানুন মুছে ফেলার পরিকল্পনা

ওয়াশিংটন পোস্ট 'DOGE AI ডিরেগুলেশন ডিসিশন টুল'-এর রূপরেখা সহ একটি পাওয়ারপয়েন্ট উপস্থাপনা পেয়েছে।

আনিস আফিফি
লিখেছেন:
আনিস আফিফি
লিখেছেন:আনিস আফিফি
সম্পাদক
আমি আনিস আফিফি — একজন উদ্যোক্তা এবং ওয়েব ডেভেলপার, যার একটি বড় স্বপ্ন হলো মানবজাতির জন্য পৃথিবীকে আরও ভালো একটি জায়গায় পরিণত করা। আমি ব্র্যান্ড তৈরি...
- সম্পাদক
ছবি ক্রেডিট: রয়টার্স

ডিওজিই (Department of Government Efficiency) একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) টুল ব্যবহার করছে যা ফেডারেল নিয়ম-কানুন বিশ্লেষণ করে এবং কোনগুলো বাতিল করা যায় তা নির্ধারণ করছে। ওয়াশিংটন পোস্টের হাতে আসা একটি ডিওজিই পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশন থেকে জানা গেছে, এই “এআই সলিউশন” — যার নাম ‘ডিওজিই এআই ডিরেগুলেশন ডিসিশন টুল’ — ২ লাখেরও বেশি নিয়ম-কানুনের মধ্যে ১ লাখ নিয়ম “মুছে ফেলার যোগ্য” বলে চিহ্নিত করেছে। এই নথিতে বলা হয়েছে, ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিভিন্ন সংস্থাকে এই টুল ব্যবহার করে তাদের নিজস্ব নিয়ম বাতিলের তালিকা তৈরি করতে হবে, যা চার সপ্তাহেরও কম সময়ে সম্পন্ন করা সম্ভব। এরপর ডিওজিই সব মিলিয়ে ৫০% ফেডারেল নিয়ম-কানুন (অর্থাৎ ১ লাখ নিয়ম) মুছে ফেলার একটি তালিকা তৈরি করবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই টুল এমন নিয়ম-কানুন চিহ্নিত করছে যেগুলো আর আইনের দ্বারা বাধ্যতামূলক নয়। টুলটি যে নিয়মগুলো বাতিলের জন্য সুপারিশ করবে, তা স্টাফরা পর্যালোচনা করে চূড়ান্ত পরিকল্পনা তৈরি করবেন। পাওয়ারপয়েন্ট অনুযায়ী, এই টুল ইতিমধ্যে কনজ্যুমার ফিনান্সিয়াল প্রোটেকশন ব্যুরো (সিএফপিবি)-তে পরীক্ষা করা হয়েছে, যেখানে এটি ১০০% নিয়ম বাতিলের কাজে ব্যবহৃত হয়েছে। এছাড়া, ডিপার্টমেন্ট অফ হাউজিং অ্যান্ড আরবান ডেভেলপমেন্ট (এইচইউডি)-তে ১,০৮৩টি নিয়ম-কানুনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ব্যবহৃত হয়েছে। ওয়াশিংটন পোস্টের সাথে কথা বলা এইচইউডি’র তিনজন কর্মচারী নিশ্চিত করেছেন যে এই টুল সম্প্রতি ব্যবহৃত হয়েছে। তবে, একজন কর্মচারী জানিয়েছেন, এই টুল বেশ কয়েকবার ভুল করেছে এবং আইনের ভাষা ভুলভাবে ব্যাখ্যা করেছে।

জানা গেছে, ডিওজিই এই মাসে অন্যান্য সংস্থাগুলোকে এই টুলের ব্যবহার শেখানো শুরু করবে। বিস্তারিত জানতে ওয়াশিংটন পোস্টের সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি পড়ুন।

Avatar Of আনিস আফিফি
লিখেছেন:আনিস আফিফি
সম্পাদক
ফলো:
আমি আনিস আফিফি — একজন উদ্যোক্তা এবং ওয়েব ডেভেলপার, যার একটি বড় স্বপ্ন হলো মানবজাতির জন্য পৃথিবীকে আরও ভালো একটি জায়গায় পরিণত করা। আমি ব্র্যান্ড তৈরি করি, ডিজিটাল সমস্যাগুলোর সমাধান করি। এবং এমন একটি ভবিষ্যত তৈরি করতে চাই যা মানুষকে ক্ষমতায়িত করে।
মন্তব্য নেই

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

০%