অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) টিম কুক সম্প্রতি একটি ঘণ্টাব্যাপী সর্বস্তরের সভায় কর্মীদের জানিয়েছেন যে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ক্ষেত্রে অ্যাপলকে অবশ্যই জয়ী হতে হবে। ব্লুমবার্গের সাংবাদিক মার্ক গুরম্যানের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই সভায় কুক তার কর্মীদের উদ্দেশে বলেছেন, “অ্যাপলকে এটা করতেই হবে। অ্যাপল এটা করবে। এটা আমাদের হাতের মুঠোয়।”
এর আগে একটি আয়ের প্রতিবেদনের সময় কুক বিনিয়োগকারী ও বিশ্লেষকদের জানিয়েছিলেন যে, অ্যাপল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রে তাদের বিনিয়োগ “উল্লেখযোগ্যভাবে” বাড়াবে। কর্মীদের কাছেও তার বার্তা ছিল একই রকম। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন যে, এআই-এর দৌড়ে অ্যাপলকে শীর্ষে থাকতে হবে।
গত বছর অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স নামে বিভিন্ন এআই-চালিত ফিচার চালু করলেও, তাদের ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট সিরির প্রতিশ্রুত আপগ্রেডগুলো উল্লেখযোগ্যভাবে বিলম্বিত হয়েছে। এই বিষয়ে কুক নিজেও স্বীকার করেছেন যে, প্রতিযোগীদের তুলনায় অ্যাপল কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে। তিনি বলেছেন, “আমরা খুব কমই প্রথম হয়েছি। ম্যাকের আগে পিসি ছিল, আইফোনের আগে স্মার্টফোন ছিল, আইপ্যাডের আগে অনেক ট্যাবলেট ছিল, আইপডের আগে এমপিথ্রি প্লেয়ার ছিল।” তবে তার মতে, এসব ক্ষেত্রে প্রথম না হলেও অ্যাপল “আধুনিক” সংস্করণ উদ্ভাবন করে সাফল্য পেয়েছে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই ঘোষণা তাৎপর্যপূর্ণ। প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রগতির এই যুগে বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মও এআই-এর সম্ভাবনার দিকে তাকিয়ে আছে। অ্যাপলের এই উদ্যোগ হয়তো স্থানীয় বাজারে নতুন প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের সুযোগ নিয়ে আসতে পারে। তবে, সিরির মতো ফিচারগুলোর বিলম্ব বাংলাদেশের ব্যবহারকারীদের জন্যও কিছুটা হতাশার কারণ হতে পারে, যারা অ্যাপলের পণ্যের উপর নির্ভর করে।
কুকের এই বক্তব্য অ্যাপলের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার একটি স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয়। এআই-এর ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকলেও, অ্যাপল তাদের উদ্ভাবনী ক্ষমতা ও বাজারে প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে এই দৌড়ে এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে। বাংলাদেশের প্রযুক্তি উৎসাহীদের জন্য এটি একটি উত্তেজনাপূর্ণ সময়, কারণ অ্যাপলের নতুন এআই ফিচারগুলো হয়তো শীঘ্রই আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আরও গভীরভাবে প্রভাব ফেলবে।